টাকা ব্যবহারে সফলতা

স্টাফ রিপোর্টার।

প্রচলিত ব্যাংক নোট টাকা সরবরাহকৃত সম্মানিত গ্রাহক বৃন্দ, আমার সালাম গ্রহণ করবেন।

আপনারা সবাই অবগত আছেন, আমাদের দৈনন্দিন সামাজিক জীবনে যে-ই জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো টাকা।

আমাদের ও দেশের প্রধান শক্তিই হচ্ছে টাকা, কিন্তু এ-ই “ব্যাংক নোট” টাকার ব্যবহার আমরা সঠিকভাবে করতে পারি না।

আমরা “মানুষ” সাধারণত নেতৃত্ব প্রবণ, কেউ কেউ ভাগ্য বিরম্বনার বা কর্তৃত্বের শিকার, কেউবা আবার বাধ্যতার জালে আটকা রয়েছি।

তা সত্ত্বেও আমরা ছোট বড় ধনী-দরিদ্র সকলেই কমবেশি ব্যাংক নোট “টাকা” ব্যবহারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছি।

আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ে অর্থ সংক্রান্ত ব্যবহার শিক্ষা প্রদান করা হলেও, জাতীয় অর্থ “ব্যাংক নোট” টাকা সংরক্ষণ শিক্ষার প্রসার আজও সার্থকভাবে গড়ে ওঠেনি, যা শুধু ব্যাংক-বীমা, এনজিও এবং বড় বড় কলকারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, আর এটাই আমাদের দেশীয় সামাজিক সংস্কৃতির দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।

যে-ই দেশের মেরুদন্ড কৃষি নির্ভর, যে-ই দেশের প্রধান চালিকাশক্তি টাকা, সে-ই টাকার ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশের সকল পর্যায়ের উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়।

এজন্য সর্ব প্রথমে আমরা সহযোগিতা পেতে পারি সরকারের, আইন পাশের মাধ্যমে সরকার সারা দেশের প্রতিটি জনগণকে “বিদেশীদের জন্য প্রযোজ্য নয়” বাধ্য করবেন।

ব্যক্তি তার নিজস্ব কিংবা অন্যের বহনকৃত “একের অধিক দুইটা যে-কোন ব্যাংক নোট” টাকা হুবহু ব্যাংক অনুসারে সাজিয়ে ব্যবহার করবেন।

সরকার ভ্রাম্যমান আদালত স্থাপন করে তাতে শাস্তির বিধান রাখবে, বিভিন্ন এনজিও এবং দায়িত্বরত কর্মীদের সুপারিশের মাধ্যমে।

প্রশিক্ষণঃ সরকার বিভিন্ন এনজিও কর্মীদের মাধ্যমে জনগণ “নারী পুরুষ”কে “ব্যাংক নোট” টাকা সংরক্ষণ শিক্ষা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করবে।

তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বা ব্যবসায়ী সমাজ।

এ-ই দেশের শতকরা ৪০ ভাগ উপার্জনকৃত সাধারণ মানুষরা প্রতি মাসে অপ্রয়োজনীয় কাজে কম করে হলেও ২ হাজার টাকা খরচ করে, যা তাদের দরিদ্র থেকে চরম দরিদ্র হওয়ার রাস্তাকে আরও প্রশস্ত করে।

তাদের এ-ই কাজের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো বেহিসেবি অথবা হিসেবের প্রতি দুর্বলতা।

দেশের কমপক্ষে ২০ ভাগ মানুষ সরাসরি জুয়া “Gambling” খেলা ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত, আমি মনে করি এটাও এক ধরণের অপব্যয়ের কারণ।

বর্তমান সমাজে একজন নিম্ন আয়ের মানুষ “হোক সে নৌকার মাঝি কিংবা দিনমজুর” তার প্রতিদিনের রোজগার কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচশত টাকা, সে যদি তার এ-ই কষ্টার্জিত টাকা একটু হিসাবের মাধ্যমে খরচ করে তাহলে আমাদের দেশের ভিত্তি আপনা আপনিই মজবুত হয়ে উঠবে।

সবশেষে আমি আমার দেশের সকল অর্থনীতিবিদ ও প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই।

দেশের সংবিধান যেমন মানুষের কল্যাণে তৈরি হয়, ঠিক তেমনি তা আবার মানুষের কল্যাণেই ভঙ্গ করা হয়।

কোন দেশের সংস্কৃতি একদিনে বা একক প্রচেষ্টায় যেমন পরিবর্তন সম্ভব নয়, তেমনি আমাদের দেশের দারিদ্রতা ও বেকারত্বতা অল্পতে দূর করা সম্ভব নয়।

এজন্য চাই সকলের ঐক্য প্রচেষ্টা ও সামাজিক পরিবর্তনের অংশ নেয়া।

মোটকথা রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি ও বিনিময় প্রথা এ-ই ব্যাংক নোট টাকা ব্যবহারে আমাদের সোচ্চার হতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে এমন অভ্যাসকে দেশের রীতিনীতিতে পরিণত করতে হবে।

তবে সকলকে মনে রাখতে হবে, এ-ই শিক্ষা থেকে কোন শিশুও যেন বাদ না পড়ে।

তাহলেই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।

মাহমুদ খান।